ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মহালছড়িতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ শ্রীপুরে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে থানার এএসআই ক্লোজড সাঘাটার ভূমিদস্যু সুইট ও সহযোগীদের শাস্তির দাবি ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষের গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিট ৩১ শয্যার হাসপাতালে ২২ পদ শূন্য, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেননি ডিসি আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা বান্দরবানে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি আমতলীতে ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২জন স্টাফদের মধ্যে১৬ জনের শুন্যপদ থাকায় চিকিৎসাসেবা ঝুঁকে পরছে হেরা ফেরি ৩-তে ফিরছেন টাবু বাশার-তিশার নতুন রোমান্সের গল্প ‘বসন্ত বৌরি’ ওজন কমাতে সার্জারি, প্রাণ গেল মেক্সিকান ইনফ্লুয়েন্সারের ‘স্কুইড গেম’ অভিনেত্রী লি জু-শিল আর নেই বিচ্ছেদের পর ফের নতুন প্রেম খুঁজছেন মালাইকা অরোরা? দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘বলী’ আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি হামলার পর প্রথমবার জনসমক্ষে সাইফ আলী খান অবশেষে প্রকাশ্যে এলো চিত্রনায়িকা পপির স্বামী-সন্তানসহ ছবি সমালোচনা সহ্য না হলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দল করেন-রিজভী

দারিদ্র্য সীমার নিচে ১৯.২% মানুষ

  • আপলোড সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:৪৭:৪১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:৪৭:৪১ অপরাহ্ন
দারিদ্র্য সীমার নিচে ১৯.২% মানুষ
রাজধানীসহ সারাদেশে ১৯.২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। এর মধ্যে শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ হলেও, গ্রামে সে হার ২০ শতাংশের বেশি। তবে রাজধানীর পল্টনে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে কম। এ এলাকার মাত্র এক শতাংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। ঢাকায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কামরাঙ্গীরচরে, ১৯ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ২৬.৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষ বসবাস করছেন বরিশাল বিভাগে। আর সবচেয়ে কম গরিব মানুষ চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫.২ শতাংশ। অপরদিকে বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, মোজাম্বিক, মালাউই, নাইজার, চাদ, লাইবেরিয়া ও মাদাগাস্কার দারিদ্র্যের মধ্যে ডুবছে। এই ১০টি দেশই রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিআইসিসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পোভার্টি অ্যান্ড লাইভলিহুড স্ট্যাটিসটিকস সেল-এর তৈরি করা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে। 
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ২৬.৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বসবাস বরিশাল বিভাগে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ১৫.২ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগে। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১.৮ শতাংশ বেড়ে ১৯.৬ শতাংশ হলেও, এই সময়ে কমেছে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে দারিদ্র্যের হার। সবচেয়ে বেশি ৬৩.২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়। তবে রাজধানীর পল্টনে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে কম। এ এলাকার মাত্র এক শতাংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। ঢাকায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কামরাঙ্গীরচরে, ১৯ দশমিক ১ শতাংশ। রাজধানীর ভাষানটেকে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ, মিরপুরে ১২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। এমনকি রাজধানীর ধনী এলাকা হিসেবে পরিচিত বনানীতে ১১ দশমিক তিন শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। এছাড়া দারুস সালামে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৯ দশমিক চার, আদবরে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ দরিদ্র মানুষ বসবাস করেন।
অন্যদিকে রাজধানীর নিউমার্কেটে এক দশমিক ৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ বসবাস করেন। এছাড়া রমনাতে চার দশমিক চার, মতিঝিলে তিন দশমিক ছয়, কোতোয়ালিতে দুই দশমিক ৯, গুলশানে তিন দশমিক দুই, গেন্ডারিয়ায় দুই দশমিক চার, ধানমন্ডিতে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের শহরে ১৭ দশমিক ৮ এবং গ্রামে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ দরিদ্র মানুষ বাস করে। এর আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপের ২০২২ প্রাথমিক হিসেবে এ তথ্য উঠে এসেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশালের পরেই বেশি দারিদ্র্য মানুষ ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪ দশমিক দুই শতাংশ। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১.৮ শতাংশ বেড়ে ১৯.৬ শতাংশ হলেও, এই সময়ে কমেছে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে দারিদ্র্যের হার। সবচেয়ে বেশি ৬৩.২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস মাদারীপুর জেলার ঢাসার উপজেলায়। সিলেটে দারিদ্র্যের হার ১৭ দশমিক তিন শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ হয়েছে। ২০১৭ সালের ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা হলো দৈনিক আয় দুই দশমিক ১৫ ডলার। অর্থাৎ, দৈনিক দুই দশমিক ১৫ ডলারের কম আয় করা মানুষ দরিদ্র বলে গণ্য হবেন। ঢাকা জেলার সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক ছয় শতাংশ। সামগ্রিকভাবে দেশের দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক দুই শতাংশ। দেশজুড়ে বিত্তশালী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিস্তর অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র উঠে এসেছে। দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলোকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক তিন শতাংশ। শহর এলাকায় এই হার ১৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
অপরদিকে বিভিন্ন দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে মাথাপিছু জিডিপির সমন্বয় করে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ১০ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। প্রচুর বৈদাশিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও কিছু দেশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ডুবে আছে। তালিকায় দরিদ্রতম ১০টি দেশই আফ্রিকা মহাদেশের। আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে দরিদ্রতম দেশের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ সুদান। তালিকায় থাকা বাকি দেশগুলো হলো-বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, মোজাম্বিক, মালাউই, নাইজার, চাদ, লাইবেরিয়া ও মাদাগাস্কার। জিডিপি ছাড়াও একটি দেশে বসবাসের খরচ আমলে নিয়ে তালিকাটি করেছে আইএমএফ। এতে বিভিন্ন দেশের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে পরিস্কার একটি ধারণা পাওয়া যায়। ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভ করা দক্ষিণ সুদানে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা, চলমান সংঘর্ষ এবং অপ্রতুল অবকাঠামোর কারণে জীবনযাত্রার মান খুবই নিম্ন। সুদান ছাড়াও বাকি দেশগুলো সবই আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। এসব দেশেও রয়েছে সংঘাত, অবকাঠামোর অভাব, বৃষ্টিনির্ভর কৃষিব্যবস্থা, জনসংখ্যার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি, এবং খাদ্যের সংকট। এমনকি কঙ্গো এবং মোজাম্বিকের মতো বড় বড় দেশগুলোও দারিদ্র্যে জর্জরিত। এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হিসেবে ইয়েমেনকে চিহ্নিত করেছে আইএমএফ। তবে দেশটিতে চলমান সংঘর্ষের কারণে সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ কঠিন হয়ে পড়ে। আইএমএফের এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য হলো, এসব দেশে দারিদ্র্যের মূল কারণগুলোর ব্যাপারে বিশ্বকে জানানো। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা, এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করা গেলে এসব দেশের ভবিষ্যৎ ভালো হয়ে উঠবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স